ঐতিহাসিক অর্জনের স্বীকৃতিতে জমকালো উৎসবের ক্ষণে এক ছাদের নিচে বসেছিল সাফ জয়ী নারী তারকা ফুটবলারদের মিলন মেলা। সাগরকোল ঘেঁষে বয়ে যাওয়া কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভের পাশে তারকামানের হোটেলে এসব তারকা ফুটবলারদের উপস্থিতি উৎসবের মূল উপলক্ষ্য।

আর জমকালো নানা আয়োজনে সাফ জয়ী নারী ফুটবল দলকে এই সংবর্ধনা দিলো সেনা বাহিনী ও বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন।

শনিবার রাতে উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের ইনানীস্থ বে ওয়াচ হোটেলে এ সংবর্ধনা প্রদানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেনা বাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, নানা প্রতিকূলতা স্বত্বেও বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল এগিয়ে যাচ্ছে। যার স্বীকৃতি সাফ জয়ী নারী ফুটবল দল অর্জন করেছে। উৎসবের আমেজে সংবর্ধনার এ আয়োজন নারী ফুটবলারদের প্রেরণা যোগায়।

আগামীতেও নারী ফুটবলাররা দেশের সম্মান অক্ষুণ্ন রেখে বড় অর্জনের লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে মন্তব্য করেন বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনির সভাপতি ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, দেশের ফুটবলকে এগিয়ে নিতে অলিম্পিক এসোসিয়েশনির পাশাপাশি সেনাবাহিনীও প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। সেনা বাহিনীতেও নারী ফুটবল দল গঠন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সেনা বাহিনীর নারী ফুটবল বেশ সফলতাও অর্জন করেছে।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মুহাম্মদ নাজমুল হাসান, সেনা বাহিনীর রামু ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি তাবিথ আউয়াল।

অনুষ্ঠানে সশস্ত্র বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি বেসামরিক প্রশাসনের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

শুভেচ্ছা বক্তব্যে তাবিথ আউয়াল বলেন, সাফ জয়ী নারী ফুটবলারদের সংবর্ধনার আনন্দঘন এই আয়োজন অনুপ্রেরণা যোগাবে। শুধু সাফ নয়, এএফসি কাপ জেতারও স্বপ্ন দেখছে নারী ফুটবলাররা।

সংবর্ধনা প্রদানের পাশাপাশি সাফ জয়ী নারী ফুটবল দলকে এক কোটি টাকা অর্থ পুরস্কার দেওয়া হয়। এতে দলের প্রত্যেক সদস্য পেয়েছেন ৪ লাখ করে অর্থ পুরস্কার। পাশাপাশি টুর্নামেন্টে সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতিতে ঋতুপর্ণা চাকমা এবং সেরা গোলকিপার রূপনা চাকমাকে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা করে পুরস্কৃত করা হয়। এছাড়া দলটির কোচ ও কর্মকর্তাদের দেওয়া হয় ৫০ হাজার টাকা করে পুরস্কার।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ গানের পরিবেশনা অনুষ্ঠান।