logo

বুলেটিন

উখিয়ার কুতুপালং

রোহিঙ্গা ক্যাম্প লাগোয়া সরকারি জায়গায় 'রহস্যজনক' স্থাপনা, জনমনে প্রশ্ন

উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ এ ৬:৫১ PM

Mysterious_installation

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কাঁটাতার লাগোয়া সরকারি জায়গায় চলছে স্থাপনা নিমার্ণের কাজ।

শেয়ার

কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কের পাশে উখিয়ার কুতুপালংয়ে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের সরকারি জায়গা দখলে নিয়ে প্রকাশ্যে স্থাপনা নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় একটি চক্র। ঐ স্থানে ইতিমধ্যে গড়ে তোলা হয়েছে ২টি আধা পাকা গুদামঘর। এছাড়া আরও একটি স্থাপনা নির্মাণাধীন রয়েছে। সরকারি জমিতে এভাবে স্থাপনা নির্মাণের বিষয়টি নিয়ে জনমনে তৈরি হয়েছে নানা প্রশ্ন। স্থানীয়রা বলছেন, এসব স্থাপনা তৈরি রোধে প্রশাসনকে কার্যকরী পদক্ষেপ গগ্রহণ করতে হবে।

 

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায়, কুতুপালং বাজার থেকে ৪শ মিটার অদূরে আমগাছ তলা নামক এলাকায় ২ ডব্লিউ রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কাঁটাতার লাগোয়া স্থানে চলছে এই স্থাপনা নির্মাণের কাজ। নির্মিতব্য স্থাপনায় কাজ করছে ৭-৮ জন রোহিঙ্গা শ্রমিক। গুদামঘর সাদৃশ্য স্থাপনাটি কেন নির্মাণ করা হচ্ছে—তা জানেন না সেখানে কর্মরত নির্মাণ শ্রমিকরা।

 

স্থানীয়রা বলছেন, কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের উখিয়া রেঞ্জভুক্ত সদর বিটের আওতাধীন আনুমানিক ৫০ শতকের এই জায়গাটি কিছুদিন আগেও ছিলো উন্মুক্ত মাঠ। এলাকাবাসীর উদ্যোগে গত ২০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছিলো একটি তাফসিরুল কোরআন মাহফিল। কিন্তু রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সুযোগে প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় এই জায়গাটি দখলে নেন রাজাপালং ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোহাম্মদ শরীফের পুত্র মোহাম্মদ শাহ আলম।

 

স্থাপনার বিপরীত পাশে অবস্থিত পানের দোকানি মোহাম্মদ সিরাজ নিজেকে মোহাম্মদ শরীফের 'মেয়ের জামাই' পরিচয় দেন। জায়গাটি বনবিভাগের স্বীকার করে তিনি জানান, তার স্ত্রীর ভাই শাহ আলমই জায়গাটিতে স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। 

 

এ বিষয়ে শাহ আলমের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি কল ধরেননি।

উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা শাহীনুর ইসলাম শাহীন বলেন, সংরক্ষিত বনাঞ্চলের জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ গুরুতর অপরাধ। স্থানটি পরিদর্শন করে বিধি অনুযায়ী বনবিভাগ ব্যবস্থা নিবে।

 

সম্প্রতি উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে উখিয়ার বিভিন্ন স্থানে সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করা হয়েছে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হোসেন চৌধুরী।  সরকারি জায়গায় এভাবে স্থাপনা নির্মাণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকারি সম্পদ-জমি রক্ষায় প্রশাসনের তৎপরতা অব্যাহত আছে। কোনোভাবেই দখলদার তথা ভূমিদস্যুদের ছাড় দেওয়া হবে না।

শেয়ার