খাগড়াছড়ির গুইমারা বাজারে সপ্তাহে দুই দিন বসে বৃহৎ কলার হাট। স্থানীয় কৃষকদের উৎপাদিত কলা কেনাবেচার এই হাট এখন পাহাড়ি অঞ্চলের অন্যতম প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র হয়ে উঠেছে।

জানা গেছে, হাটটি সিএনবি এলাকা থেকে কাশেম মার্কেট পর্যন্ত বিস্তৃত। প্রতি হাটের দিনে প্রায় বিশ হাজার কলার ছড়া বেচাকেনা হয়, যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৫০ লক্ষাধিক টাকা। খাগড়াছড়ি, মাটিরাঙ্গা, পানছড়ি, রামগড়সহ আশপাশের এলাকার চাষীরা এখানে কলা নিয়ে আসেন, যা দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়।

এ বছর কলার দাম কিছুটা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। পাইকারি বাজারে প্রতিটি কলার কাঁদি ৩০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ী মো. রহিম বলেন, গুইমারার কলা উন্নত মানের হওয়ায় এর চাহিদা সব সময় বেশি থাকে।

সিএনবি এলাকার চাষী আনোয়ার হোসেন জানান, আমি এক একর জমিতে কলাচাষ করেছি। এবছর দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা লাভের আশা করছি।

গুইমারা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা ওঙ্কার বিশ্বাস জানান, এ উপজেলায় বর্তমানে ৩৯০ জন বাণিজ্যিক কলাচাষী রয়েছেন। হেক্টরপ্রতি উৎপাদন ২৫-৩০ টন এবং এ বছর মোট প্রায় ১১ হাজার টন কলা উৎপাদিত হয়েছে। এর মধ্যে ৬০ শতাংশ বাংলা কলা, বাকি অংশ চাম্পা, সাগর, সূর্যমুখী ও কাঁচকলা।

তিনি আরও বলেন, পাহাড়ি মাটি ও আবহাওয়া কলাচাষের জন্য উপযোগী। কৃষকদের আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে আরও লাভবান করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

গুইমারা হাটের ইজারাদার সালমান হোসেন জানান, এখানে দূরদূরান্ত থেকে পাইকাররা কলা কিনতে আসেন। আমরা খাজনা সহনীয় পর্যায়ে রাখার চেষ্টা করি যাতে কৃষকরা উপকৃত হন।

স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মতে, গুইমারা বাজারের কলার হাট ক্রমেই দেশের অন্যতম প্রধান কলার বাণিজ্যকেন্দ্রে পরিণত হচ্ছে। বাজারের পরিকাঠামো আরও উন্নত হলে এটি আরও বড় পরিসরে সম্প্রসারিত হতে পারে।